
অপারেশন ডেভিল হান্টে রংপুর মহানগরীতে ৬ এবং বিভাগের আট জেলা থেকে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত (৮-১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে অপারেশন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট গ্রেফতার হলো ৫০ জন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, নগরীর কোতোয়ালী থানা থেকে দুই জন এবং তাজহাট থানা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন কোতয়ালী থানা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইলাহ ইসলাম আলিফ, নীলফামারীর ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি এলাকার ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন, কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য হৃদয় হোসেন, মুন্না ইসলাম, মেহেদী হাসান এবং ছিনতাইয়ের দায়ে অভিযুক্ত রিমন শেখ।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অপরাধ ও অপারেশন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, রেঞ্জের আওতাধীন আট জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি বড়বাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল হক ও আওয়ামী লীগ সদস্য সাজিদুর রহমান সাজিদ, আওয়ামী লীগ সদস্য মাহবুব আলম বুধ আলম, একই উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, রুহিয়া থানার রাজাগাও ইউনিয়নের ২ নং ওযার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য তাহেরুল ইসলাম, রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুনাথপুরের ছাত্রলীগ নেতা হৃত্তিক রোশন রাব্বী, সাগর আলী, মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেঞ্জ কার্যালয় জানায়, পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুর হোসেন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সরকার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সদস্য মিন্টু শেখকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
রেঞ্জ কার্যালয় আরও জানায়, কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খবির উদ্দিন, নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহফুজুর রহমান মুকুল, রৌমারীর চর শৌলমারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মকবুল হোসেন মোঘল, উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রুবেল, সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম, মজিদা কলেজ ছাত্রলীগ সদস্য আবু সাঈদ বকসি এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফকে গ্রেফতার করা হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে পরিচালনা করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধীদের আমরা গ্রেফতার করছি।এই অভিযানে অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ নাশকতা, পরিকল্পনা এবং অর্থ যোগান দেয়ার অভিযোগ আছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।