
ভোলায় বাস চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৭টি বাস ৫টি সিএনজিতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে টানা দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এসময় ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
রাত ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। পরে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাস মালিক সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর পৌরসভা থেকে চলতি বছর ভোলা জেলা শহরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে ইজারা নেন বাস মালিক সমিতি। বাসস্ট্যান্ডের অভ্যন্তরে থাকা সিএনজি চালকদের বাসস্ট্যান্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আজ দুপুরে অভিযান চালায় ভোলা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসময় সিএনজি চাকদের বাসস্ট্যান্ডের অভ্যন্তর থেকে বেরিয়ে অন্যত্র যেতে বলেন। কিন্তু সিএনজি চালকরা পৌর কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে তারা বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হননি।
পরে সন্ধ্যার দিকে এ বিষয় নিয়ে বাস মালিক সমিতি ও বাসের শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালীন বাসস্ট্যান্ডের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকা ২টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৭টি বাস ও ৫টি সিএনজিতে। সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল নেওয়া হয়েছে।