বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সোনারগাঁয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে জনি (১৭) নামের এক কিশোরের হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ অক্টোবর) এক অভিযানে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বারী।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার মাঝেরচর এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে ও জামপুর ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিহার খন্দকার (খন্দকার গজ নবী) (৪২), একই উপজেলার মহজমপুর কাজীপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও জামপুর ইউপি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাইদুল ইসলাম (৩০)
পুলিশ জানায়, ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগায়েঁর কাচপুর সাকিন এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় মামলার বাদীর ছেলে ভিকটিম জনিও একই এলাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলো। সেদিন বিকেল পাঁচটায় আসামি পক্ষের ছোঁড়া ২ টি গুলি জনির পিঠে লাগে। এর মধ্যে একটি গুলি নিহতের পিঠে ঢুকে বুক চিরে সামনে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ জনি রাস্তায় লুটে পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। আটককৃত নীহার খন্দকার এই মামলার এজাহার নামীয় ১৭২ নং আসামি ও জাহিদুল ইসলাম এ ঘটনার জড়িত সন্দিদ্ধ আসামি। ঘটনার সময় দুজনেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে জানা যায়।
পুলিশ আরও জানায়, এছাড়াও একই দিন অভিযানে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও নিয়মিত মামলায় আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মোট ৪ জনকেই আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।