ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে রীতিমতো হাহাকার করছিল পাকিস্তান। এমনকি নিজেদের মাঠে তারা ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। অবশেষে পাকিস্তানের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর ফুরোলো। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আর তাতে করে ঘরের মাঠে দীর্ঘ ৪৪ মাস জয় না পাওয়ার অপেক্ষা ফুরিয়েছে পাকিস্তানের। ঘরের মাঠে শেষবার পাকিস্তান টেস্ট জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৬১ রান আর পাকিস্তানের ৮ উইকেট। আজ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ওলি পোপকে ফিরিয়ে সেই জয়ের পথে এগিয়ে দেয়ার কাজটি শুরু করেন সাজিদ খান। ২২ রান করে আউট হন পোপ।
এরপর দলটিকে গুঁড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন নোমান একাই। আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান জো রুট ও ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি ব্রুককে ক্রিজে জেঁকে বসার আগে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। তারা রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। চার ওভারের মধ্যে দু’জন সাজঘরে ফেরেন। জেমি স্মিথও অধৈর্য হয়ে উইকেট হারিয়েছেন। নোমানকে স্লগ সুইপ করতে যান স্মিথ। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
১০ বলে ৬ রান করে স্মিথ ফিরলে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৮ রান। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের তখনো করতে হতো ২০৯ রান। কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ আজকের দিনসহ ধরলে দেড় দিনেরও বেশি সময় খেলা বাকি। সেই সম্ভাবনার পথেই এগোতে থাকে ইংল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে স্টোকস-কার্স গড়েন ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নোমানকে তেড়েফুঁড়ে মারতে যান স্টোকস। ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট ছুটে চলে যায় মিড উইকেটে। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান সহজেই স্টাম্পিং করে ফেলেন।
ব্রাইডন কার্স ৩ ছক্কায় ৩২ বলে করেন ২৭ রান। স্লিপে তার ক্যাচ নেন আগা সালমান। শেষে পরপর দুই বলে জ্যাক লিচ ও বশির বিদায় নিলে ৩৩.৩ ওভারেই ইংলিশরা অলআউট হয়ে যায়। নোমান ৮ উইকেট নেন ৪৬ রান খরচায়। দুই উইকেট পান সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসের ন্যায় দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট তুলে নেন সাজিদ-নোমান জুটি। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট দুই বোলার মিলে শিকার করবার ৭ম নজির এটি।
সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে।