আজ রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি খাগড়াছড়ির গিরিফুল থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ পাহাড়ি শিক্ষার্থীসহ ছয় জনের। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনী। অপহৃতদের উদ্ধারে পৃথক স্থানে অভিযান চালাচ্ছে তারা। তবে বিরাপত্তার কারণে অভিযানের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, পাহাড়ি পথ, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাসহ কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে বেগ পেতে হচ্ছে। অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। কৌশলগত নানা দিক বিবেচনা করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

অপহৃতদের উদ্ধার করা এখন প্রধান কাজ বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। তিনি জানান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ পাড়া, এলাকা ও সড়কে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা অপহৃত হওয়া স্থানের আশপাশ এবং সম্ভাব্য জায়গায় বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে, অপহরণের বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের লিখিত অভিযোগ পাননি তারা। ইউপিডিএফ প্রসীত এ অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে চবি’র ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণ করা হয়। তারা বৈসাবি উৎসব শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে এ ঘটনার শিকার হন।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, একই বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহৃতদের মধ্যে রিশন চাকমা পিসিপির চবি শাখার সদস্য। অপহৃতরা সবাই রাঙামাটি ও বান্দরবানের বাসিন্দা।

Exit mobile version