
পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রৌপ্যলঙ্কারের সঙ্গে অসংখ্য চিরকুটের ভিড়ে মিললো ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’ এবং ‘ড. ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর চাই’ চিরকুট!
এমন সব চিরকুট পাওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এরকম দুটি বেনামি চিরকুটে দেখা গেছে, লেখা রয়েছে ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’। আরেকটি চিঠিতে ‘সাধারণ জনগণ’ নাম ব্যবহার করে লেখা হয়েছে ‘ড. ইউনুস স্যার-কে আরও পাঁচ বছর চাই। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও’।
আজ শনিবার সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদে ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিপিএন ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনির বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এবার ১১টি দানবাক্সগুলো খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রূপালী ব্যাংকের অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা -কর্মচারীসহ প্রায় চার শতাধিক লোক টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী এছাড়াও এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ৪ মাস ১২ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে এসব দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় নগদ ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যালঙ্কার।