
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স ও ট্রাঙ্ক খোলা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও।
টাকাগুলো গণনার কাজে অংশ নিয়েছে মসজিদ কমপ্লেক্স, মাদরাসা, এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কিশোরগঞ্জ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরাও।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদটির দানসিন্দুক থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। অর্থাৎ চার মাস ১১ দিন পর আজ খোলা হলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স।
জানা গেছে, প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর এই সিন্দুক খোলা হয়। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে এই মসজিদে দান করছেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, ৪ মাস ১২ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে।