আজ
|| ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
‘মিডিয়া ছুটায় দেব’ বলে হুমকির ঘটনায় পুলিশের বিবৃতিতে অসংগতি
প্রকাশের তারিখঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৫
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক সংবাদকর্মীকে হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করার অভিযোগ ওঠার পর এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে জেলা পুলিশ। তবে ওই বিবৃতিতে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও গোয়েন্দা শাখার ওসি বজলার রহমান স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মীদের পাঠানো হয়।
পুলিশের লিখিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লোকদের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের একটি ‘চৌকস’ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় একজন অজ্ঞাত উৎসুক তরুণ গোপন অভিযানের ভিডিও ধারণ শুরু করে। ওই তরুণ নাম-পরিচয় না দিয়েই ভিডিও ধারণ করতে থাকে। অভিযানের তথ্য ফেসবুকে ফাঁস হতে পারে আশঙ্কা করে তার মোবাইল ফোন থেকে ভিডিওটি ডিলিট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মূলত এ আগে ১০ এপ্রিল চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর শহরের মোড় এলাকায় চিলমারী-ছরিপুর তিস্তা সেতুতে ঘুরতে যাওয়া মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে মাইকিং করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান। এ সময় স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি ও চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাদ্দাম সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশে ছবি এবং ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ সুপার ফোন কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় পুলিশ সুপার সাংবাদিককে উদ্দেশ করে, ‘মিডিয়া ছুটাই দেব' বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
পুলিশের বিবৃতির পর প্রশ্ন উঠেছে যেখানে দিনের বেলা সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হয়েছিল, সেখানে রাতের বেলা পুলিশ এককভাবে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করার দাবি করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সেখানে থাকা রমনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, ‘পুলিশ সুপার এসে ইউনিয়নের দুই থানার মোড় ও সুন্দরগঞ্জের শহর মোড় সীমান্তে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। কিন্তু সে সময় কোনো অভিযান পরিচালনা হয়নি। আমি সেখানেই ছিলাম। কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতেও দেখিনি। পরে এমন কোনো সংবাদও পাইনি।’
বিবৃতিতে সাংবাদিকের পরিচয় না জানা এবং ভিডিও ডিলিট করার ‘পরামর্শ’ দেওয়া প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম বলেন, ‘আমি আগে নিজের পরিচয় দিয়েছি। তারা আমাকে বললে ভিডিও করতাম না। কিন্তু পরিচয় দেওয়ার পরও এসপির নির্দেশে তার গানম্যান মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দিয়ে ফোন ফেরত দিয়েছেন। আমার পরিচয় না জানা নিয়ে পুলিশের দাবি সঠিক নয়।’
সম্পাদক: মো: রবিউল হক। প্রকাশক: মো: আশ্রাফ উদ্দিন ।
প্রকাশক কর্তৃক বি এস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড (মামুন ম্যানশন, গ্রাউন্ড ফ্লোর), থানা-ওয়ারী, ঢাকা -১২০৩ থেকে মুদ্রিত
দেলোয়ার কমপ্লেক্স, ২৬ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক (হাটখোলা), ওয়ারী, ঢাকা -১২০৩ থেকে প্রকাশিত ।
মোবাইল: ০১৭৯৮৬৫৫৫৫৫, ০১৭১২৪৬৮৬৫৪
ওয়েবসাইট : dailyjanadarpan.com , ই-পেপার : epaper.dailyjanadarpan.com
Copyright © 2025 Daily Janadarpan. All rights reserved.