
এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষার প্রথম দিনে সমগ্র নারায়ণগঞ্জে অনুপুস্থিত ছিলো ৩৪৪ পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের বাংলা পরিক্ষা। পরিক্ষা শেষে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানায় জেলা শিক্ষা অফিস।
জানা যায়, এসএসসি (জেনারেল) পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ২৬ হাজার ১৫৩ জন পরীক্ষার্থীর। তবে এর মধ্যে আজ অনুপস্থিত ছিলেন ২৪৩ জন। এছাড়াও ভোকেশনালে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন, অনুপস্থিত ২৭ জন। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৬০০ জন, অনুপস্থিত ছিলেন ৭৪ জন।
এদিকে প্রথম পরীক্ষায় দুপুর ১২টায় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন,‘পরিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি, তারা প্রশ্ন নিয়ে সন্তুষ্ট ও সবকিছু সুন্দর ভাবে লেখছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অনেকগুলো সেট আছে, কোন সেটে পরিক্ষা হবে তা আমরাও জানি না। সুতরাং প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই, সবাইকে পরীক্ষা দিয়েই ভালো ফলাফল করে বের হতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে, তাদের পরীক্ষা পরীক্ষার মত হবে তাদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা। নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাইরেও ১৫ টি কেন্দ্র দাখিল ও ভোকেশনাল কেন্দ্র রয়েছে। মোট ৪৮ টি কেন্দ্রে প্রায় ৩৩ হাজার ছাত্র ছাত্রী এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই লক্ষ্যে বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন সেট পরীক্ষা হবে আধা ঘন্টা আগে আমাদের জানিয়ে থাকে। আমাদেরকে জানানোর পর কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে যারা থাকে তাদের সেই তথ্য দিয়ে থাকি। সেই সেট কোট অনুযায়ী পরীক্ষার প্রশ্ন বের হয়ে থাকে। আমরা সেগুলো জেলা থেকে মনিটরিং করে থাকি। সকল পরীক্ষা কেন্দ্র সেট কোড অনুযায়ী সঠিক সময় প্রশ্ন পৌঁছেছে।’
প্রসঙ্গত, জেলায় মোট পাঁচটি উপজেলায় পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬টি, বন্দর উপজেলায় ৫টি, সোনারগাঁ উপজেলায় ৯টি, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০টি এবং আড়াইহাজার উপজেলায় ৮টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জেলায় পরীক্ষা মনিটর করতে কাজ করছেন প্রায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।