আজ শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বেশ কয়েকটি বৈঠক। যার মধ্যে অন্যতম ইউনূস-মোদি বৈঠক। আসিয়ান সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে থাই এলিটদের সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের সাথে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউয়ের বৈঠক হয়। যেখানে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যবাসনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

সব মিলিয়ে এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কতটুকু? এবারের সম্মেলনে যেমন নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটেছে, তেমনি উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু বৈঠক হলেই চলবে না; সাথে থাকতে হবে অগ্রগতিও। দৃশ্যমান হতে হবে চুক্তি-সমঝোতা। কাজে লাগাতে হবে বিমসটেকের সম্ভাবনার পুরোটা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশে বিমসটেকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত, এখন পর্যন্ত আমি এটিকেই প্রাপ্তি হিসেবে দেখি। প্রত্যাশা থাকবে, এটি যাতে শুধুমাত্র বিমসটেক দেশগুলোর ভেতরে আন্তঃযোগাযোগের নেটওয়ার্কের অংশ যাতে না হয়, বিমসটেকের বাইরের দেশগুলোর সাথেও যাতে মেরিটাইম কানেক্টিভিটির মাধ্যমে এই দেশগুলো কানেক্টেড হতে পারে।

বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্র ভারত ও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব আছে, মন্তব্য এই বিশ্লেষকের। যে কোনো চুক্তির ব্যাপারে দেশগুলোকে আন্তরিক হতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব— বিশেষ করে ভারত ও থাইল্যান্ড বড় দুইটি দেশের উচিত হবে, তাদের যে সমস্ত যোগাযোগ কো-অপারেশন রয়েছে, সেগুলোর বাইরে গিয়ে বিমসটেক কো-অপারেশনকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি-চারটি চুক্তি স্বাক্ষর করা; যেগুলো এখন নেগোসিয়েশন পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বৈঠককে ফলপ্রসূ করতে উভয় পক্ষকে কিছু অভ্যন্তরীণ উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হলে অন্তত পরস্পরকে আশ্বস্ত করা যাবে এমন কোনো কাজ করা হবে না, যাতে একে-অপরের ক্ষতি হয়। আদর্শিকভাবেও খানিকটা দূরত্ব বেড়েছে। সেই জায়গাগুলোতে আমাদের দিক থেকেও কিছু অভ্যন্তরীণ উদ্যোগের প্রয়োজন হবে। তাদের দিক থেকেও অভ্যন্তরীণ কিছু উদ্যোগের প্রয়োজন হবে, সর্ম্পককে স্বাভাবিক গতিতে নিয়ে আসতে।

Exit mobile version