
রাজধানীতে খিলগাঁও, হাতিরঝিল ও মুগদা থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় ৪ কিশোরীসহ ৫ জনকে ধর্ষণের অভিযোগে আলাদাভাবে থানায় মামলা হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তির জন্য নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ঢাকার পৃথক থানা থেকে পাঁচজন ভুক্তভোগীকে ওসিসিতে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। তাদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। তবে এই পাঁচজনের ফরেনসিক পরীক্ষা আগামী শনিবার করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বলছে, চার কিশোরীসহ ৫ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার কয়েকটি থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মুগদা থানায় তিন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা হয়। পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী তিন কিশোরীর বয়স— (১২), (১৩) ও (১৫) বছর।
এ বিষয়ে মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন বলেন, ‘১২ ও ১৩ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় আলাদা মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জব্বার (৪০) ও পিন্টু চন্দ্র দাস (২৮) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১২ বছরের কিশোরীকে গতকাল বুধবার ইফতারের সময় জব্বার নামে এক ব্যক্তি কিশোরীকে বাসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এই অভিযোগে পরিবার মামলা করে।’
মুগদা থানার আরকে উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ মার্চ ১৫ বছরের ওই কিশোরী নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় মামলার পর সিয়াম আহমেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস মাহমুদ জানান, বেশ কয়েকদিন আগে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। এ রকম অভিযোগে গতকাল পরিবারের তরফ থেকে একটা মামলা করা হয়। এই মামলার পরিপেক্ষিতে গতকাল ওই কিশোরীকে খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। আর মামলার আসামি অভিযুক্ত আলিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আলিফের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে তারা দুজন গত মাসে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর পরিবার অপহরণ মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ দিকে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) ২২ বছরে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। সে মামলায় আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তারের স্বার্থে আসামির নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না।’
ওসি আরও বলেন, ‘আসামি ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত। বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’