সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরে জমা গ্যাসের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) ভোর পৌনে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোশাক শ্রমিক রূপালি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। নিহত রূপালি হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসার ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিক সোহাগের স্ত্রী। একই ঘটনায় এখনো চিকিৎসাধীন আছেন নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), নিহত রূপালির স্বামী পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩)। সার্জন ডা. শাওন জানায়, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আজ ভোরে রূপালি নামের এক নারী মারা যায়। আগ্নিকান্ডে তার শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। এর আগে শনিবার রাতে হান্নান (৪০) ও সুমাইয়া নামের দেড় মাসের শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। নিহত হান্নানের দুই মেয়ে সামিয়া ও জান্নাত কিছুটা আশঙ্কামুক্ত। তবে লাকি আর সাব্বিরের কন্ডিশন ভালো না। প্রসঙ্গত, সোমবার, ৩ মার্চ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ওই বাসার দু’টি কক্ষে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন। পরবর্তীতে ৮জনকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।’