
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ সময় জেলায় নতুন ভোটার বেড়েছে ৩৫ হাজার ৫২২ জন। এর ফলে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৯২৯ জন দাঁড়িয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিবো মিলেমিশে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, গত বছর নারায়ণগঞ্জে ভোটার সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১৬ হাজার ৪০৭ জন, যা এ বছর ৩৫ হাজার ৫২২ জন বৃদ্ধি পেয়ে ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৯২৯ জনে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০৭-২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হচ্ছে, যাতে ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত হলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ নির্বাচন। এর জন্য প্রয়োজন নির্ভুল ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. আলমগীর হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাকিকবুজ্জামান রেনু এবং সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা খাতুন। এছাড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার ও নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী তালহা সিকদার দিগন্তও সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা নতুন ভোটারদের সঠিক তথ্য প্রদান করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং দ্বৈত ভোটার হওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।