আজ রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাশকতার মামলার আসামি খুলনার ট্যাংকলরি শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘটে শ্রমিকরা। এতে, খুলনাসহ ১৬ জেলায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জনসাধারণকে জিম্মি করে এ ধরণের আন্দোলনকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে তা দ্রুত বন্ধের আহ্বান ভুক্তভোগীদের।

এদিকে আলী আজিমকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে আলী আজিমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। খালিশপুর থানায় গত ২১ আগস্টের নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে খালিশপুরে অবস্থিত বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। সকালে নগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মেসার্স কেসিসি পেট্রোলিয়ামে সরেজমিনে দেখা যায়, অকটেন শেষ হয়ে গেছে।

পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী ধীমান জানান, সকালে অকটেন শেষ হয়ে গেছে। অল্প কিছু পরিমাণ ডিজেল ও পেট্রোল রয়েছে।যা দুপুরের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।

একই এলাকার মেঘনা মডেল সার্ভিস সেন্টার নামে আরেকটি পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীরা জানান, যতক্ষণ তেল আছে ততক্ষণ বিক্রি করব। তবে দুপুরের মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার না হলে জ্বালানি তেল শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রায় একই রকম চিত্র নগরীর অন্যান্য পেট্রোল পাম্পগুলোতেও।

পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

যতক্ষণ পর্যন্ত আলী আজিমকে মুক্তি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। তবে এখনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

Exit mobile version