
যশোরের মনিরামপুরে জামায়াত নেতাদের ঘেরের মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে তোপের মুখে মাছ বিক্রির টাকা ফেরত দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে মাছ লুটের বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে মাছ লুটের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুলটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু নসর, সাবেক থানা আমীর লেয়াকত হোসেনসহ কয়েকজন মিলে ঘেরে মাছ চাষ করেন। এই ঘের থেকে গত শনিবার প্রায় ১৮ থেকে ২০ মণ মাছ বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানোর পথে ছাত্রলীগ নেতা লেখক ভট্টচার্যের মাছ ভেবে লুট করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে তোপের মুখে মাছ বিক্রির টাকা ফেরত দেন তারা।
নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, শনিবার বিকেলে জামায়াত নেতা লেয়াকত হোসেনের কাছে মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে আমরা তৎপর হই। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাহাবুব ও রাজিব নামে দুই জনকে চিহ্নিত করা গেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে মাছ বিক্রির টাকা উদ্ধার করে লেয়াকত হোসেনের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি। রাজিব ও মাহাবুব বিএনপির রাজনীতি করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুলটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু নসর বলেন, ‘এলাকায় আমাদের মাছের ঘের আছে। আমাদের সাবেক থানা আমির লেয়াকত হোসেনসহ কয়েকজনে ঘেরে মাছ চাষ করি। শনিবার দুটো ঘের থেকে ১৮-২০ মণ মাছ ধরে কপালিয়া বাজারে আড়তে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। রাস্তায় কিছু লোক মাছ ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। লুট করা মাছ তারা ৯৩ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। চাপ দিয়ে তাদের কাছ থেকে ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছি। এলাকার কিছু লোক এ ঘটনায় জড়িত। সব তথ্য উদ্ধারের পর নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে থানায় অভিযোগ করার কথা ভাবছি।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, মাছ লুটের কোনো ঘটনা জানা নেই। এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।