আজ শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শতাধিক বসতঘরসহ নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাঁচজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী নিবন্ধিত ক্যাম্পের পি-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আয়েশা সিদ্দিকা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকের ইব্রাহিমের মেয়ে। তবে আহত ও নিখোঁজদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২৬ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ কাউসার সিকদার শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম ও পরিচয়ের পাশাপাশি কতজন আহত হয়েছে তাৎক্ষণিক এসব তথ্য জানাতে পারেননি।

কাউসার সিকদার বলেন, রাতে টেকনাফের নয়াপাড়া মোচনী নিবন্ধিত ক্যাম্পের পি-৩ ব্লকে জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে আকস্মিক আগুন লাগে। এতে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের ঘর ও স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এপিবিএন পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত শতাধিক বসত ঘর ও নানা স্থাপনা ভস্মীভূত হয়েছে এবং এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এডিআইজি বলেন, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ খবর নেওয়ার পর আগুনের সূত্রপাতের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হবে।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অভিযানিক দলনেতা মুকুল কুমার নাথ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

কিন্তু তার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে অন্তত শতাধিক বসতঘরসহ নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে। আগুনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে বলে জানান তিনি।

Exit mobile version