আজ শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনা থেকে একটি জাহাজ ছিনতাই করে ৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল লুট হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ থেকে গাজীপুরে যাওয়ার সময় চর মুক্তারপুরের কাছে নদীতে মোড় ঘোরানোর সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে এমভি বি জামান-১ নামের জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।

জাহাজের কর্মীরা বলছেন, ওই জায়গায় ওঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র জলদস্যুরা ট্রালার থেকে জাহাজে উঠে পড়ে। মাস্টারসহ জাহাজে থাকা ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোনসহ সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে কালো কাপড় দিয়ে মুখে ঢেকে দেয়। পরে তাদের ইঞ্জিন কক্ষে আটকে রেখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

পরে জাহাজে থেকে থাকা ৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল লুট করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেঘনা সেতুর কাছে জাহাজটি ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

জাহাজটির মালিক কিং ফিশার শিপিং বলছে, লুট হওয়া ফার্নেস অয়েলের দাম ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওই ফার্নেস অয়েল সামিট গ্রুপের।

কোম্পানির ম্যানেজার ফজল আহম্মেদ বলেন, সকালে জাহাজের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তারা বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। পরে মোবাইল ট্র্যাক করে মেঘনা সেতুর কাছে জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

পুলিশ সন্ধ্যায় সেখানে গেলে জাহাজ রেখে দ্রুত ট্রলারে করে পালিয়ে যায় জলদস্যুরা। এরপর জাহাজ কোম্পানির কর্মকর্তাসহ নৌপুলিশ এবং বিআইডব্লিউটি এর লোকজন জাহাজে গিয়ে বন্দি কর্মীদের উদ্ধার করে।

জাহাজের মাস্টার সাইজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে সামিট পাওয়ারের ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল গাজীপুরে সামিট পাওয়ারের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে রওনা হন তিনি।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে মুখোশ পড়া ছয় জন ডাকাত জাহাজে ওঠে। তাদের কাছে বড়বড় রাম দাসহ নানারকম অস্ত্র ছিল। তাদের মুখে ডালিম নামটি শোনা যায়।”

এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান।

তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড জাহাজটি পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ফার্নেস অয়েল লুট করে কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Exit mobile version