আজ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচি ৮ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে চালানো হবে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসান।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু জেলায় লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ কার্যক্রম চালানো হবে। ঢাকায় পুরো সপ্তাহজুড়ে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রঘোষিত সূচি অনুযায়ী বিভিন্ন জেলা সফর করবেন এবং স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
প্রথম দিন, ৮ জানুয়ারি, ময়মনসিংহ মহানগর, খুলনা মহানগর, কুমিল্লা জেলা, নরসিংদী, বরিশাল জেলা, চট্টগ্রাম জেলা, রংপুর জেলা, রাজশাহী জেলা, সিলেট জেলা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি, রংপুর মহানগর, বরিশাল মহানগর, ফেনী, ময়মনসিংহ জেলা, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নাটোর, কুষ্টিয়া ও সুনামগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ চালানো হবে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ মহানগর, লক্ষ্মীপুর, নেত্রকোনা, ঝালকাঠি, মেহেরপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ চালানো হবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, কুমিল্লা মহানগর, জামালপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, গাজীপুর জেলা, নওগাঁ ও হবিগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ চালানো হবে।
১২ জানুয়ারি সিলেট মহানগর, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুরসহ অন্যান্য জেলা এবং ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগর, বরগুনা, বান্দরবানসহ আরও কিছু জেলায় এই কার্যক্রম চলবে। ১৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচির শেষ দিন পালিত হবে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হবে।
গত ৪ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সারাদেশে লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ ও জনসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই ৭ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।