রাষ্ট্র পুনর্গঠনে জাতীয় সংহতির বিকল্প নেই। এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল-রাজি কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন– বাতিল নয়, সংবিধানের কিছু বিষয় সংশোধন করা যেতে পারে।
নুর আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সংবিধান এখন পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে, ফ্যাসিবাদী ধারা বদলানো যেতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, গণহত্যার বিচারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত না হলে আগামীতে আরও গণহত্যা ঘটবে। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় নুর বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ৫ মাসেই হোঁচট খেয়েছে।
এদিকে, নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে গণঅধিকার পরিষদের বিভক্ত দুই গ্রুপ এক হয়েছে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন দুই গ্রুপের নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের অপর পক্ষের সদস্য সচিব ফারুক হাসানসহ উভয় পক্ষের কেন্দ্রীয় নেতারা।
২০২১ সালের অক্টোবরে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন নুরুল হক ও তার সমমনা ব্যক্তিরা। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালে তিনজন নেতাকে অব্যাহতির ঘটনায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের মধ্যে মতবিরোধ দেখ দেয়। পরে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতির ঘটনায় বিভক্ত হয়ে যায় গণঅধিকার পরিষদ।