আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশন গঠন সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে কমিশন গঠনের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। তাছাড়া, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন মহল দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে আপাতত কমিশন গঠন করা হচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর তদন্ত কমিশন গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণাও দেয় তারা। পরদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিডিআর হত্যা তদন্তে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। তবে আজ এ ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এরপর মামলাগুলো নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রথমে ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এরপর আরও ২৬ জন আসামিকে যুক্ত করে ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

এই হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া, দেশের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের এই মামলায় ২৭৭ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়েছে।

Exit mobile version