সারাদেশে চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং প্রশাসনের নিস্ক্রিয় ভূমিকার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কলেজ গেটের সামনে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির আহ্বায়ক মৌমিতা নূর এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবিদ রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অপূর্ব রায়, সদস্য শেখ সাদী,তাহমিদ আনোয়ার,সজীব ইসলাম,মাহাদী হাসান,শাহরিয়ার নাসিম,হাফিজা আক্তার,মোঃ সোহাগ,সুফিয়ান খন্দকার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এসময় জেলা কমিটির সহ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ৫ই আগষ্টের পর আমরা একটি নতুন সম্ভাবনার বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই অভ্যুত্থানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে যেখানে আমাদের সাম্য, নাগরিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মান করার কথা সেখানে ৫ই আগষ্টের পর আমরা দেখবো প্রশাসনের গা-ছাড়া ভাব। সারাদেশে চুরি, ছিনতাই, চাদাবাজি, ধর্ষণ এবং খুন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কার্যকরী ভুমিকা রাখতে ব্যার্থ হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ৫ জনের অধিক শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ড জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ৫ই আগষ্ট পরবর্তী বাংলাদেশকে আমরা এইভাবে দেখতে চাই না অতিদ্রুত প্রশাসনকে কার্যকরী ভুমিকায় ফিরে আসতে হবে অন্যথায় আমরা ছাত্র-জনতা আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫ই আগষ্টের পর আমদের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে শুনতে হয়েছিলো তারা কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে কোনো একশনে জাবেন না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। অতিদ্রুত প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কমলমতি তরুণ কিশোররা কিভাবে কিশোর গ্যাং এ রূপান্তর হচ্ছে তার কারণ বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে মৌমিতা নূর বলেন, সম্প্রতি সময় চুরি,ছিনতাই এবং ধর্ষণ থেকে খুন ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। নারায়ণগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে লাশের মিছিল চলছে। চাষাড়া দেওভোগ অঞ্চলে সীমান্ত হত্যা একটি ভয়ানক হত্যাকান্ড। একজন ছাত্র তার ক্লাসের জন্য সকালে বের হয়ে তার ভার্সিটি পর্যন্ত যাবে এটাই খুব স্বাভাবিক। আর এই যাবার পথে তাকে ছিনতাইয়ের শিকার হতে হয় এবং ছুরির আঘাতে মৃত্যুবরণ করতে হয়। আমাদের প্রশাসন একটি মানুষের এতটুক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। মানুষ মূলত দুটি কারণে চুরি,ছিনতাই করে থাকে। প্রথমত তার মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় এবং মাদকাসক্ত হলে তার মাদক দ্রব্য যোগান দিতে চুরি, ছিনতাই করে থাকে। রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে কার্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে। এবং শহরে মাদকের আস্তানা গুলোকে উৎখাত করতে হবে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা সক্রিয় হোন এবং প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করুন।