ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, দ্রুত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ না করলে শহরে ট্রাফিক অবস্থার আরও অবনতি হবে। অচিরেই মানুষ আর ঘর থেকে বের হতে পারবে না। ঘর থেকে বের হলেই দেখবে– শুধু অটোরিকশা আর অটোরিকশা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এগুলোর লাইসেন্স নেই, ট্যাক্স নেই। অটোরিকশাকে সীমিত নাম্বারে আনতে হবে। তাদের লাইসেন্স ও ট্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে গ্রেফতার শুরু হবে।
ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে তিনি বলেন, হকারদের একেবারে উচ্ছেদ করে দেয়া অমানবিক। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে মানুষ একপাশ দিয়ে হাঁটতে পারে। ট্রাফিকে ঝামেলা না হয়। এতো জনবসতির জন্য ২৫ ভাগ রাস্তা থাকা উচিত, কিন্তু আছে ৭ শতাংশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মোটরসাইকেল ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। এক মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মোটরসাইকেলকে ফ্যামিলি রাইড হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হবে। যারা রাস্তা ব্যবহার করবেন, অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। শব্দদূষণ রোধে সড়ক আইনে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হবে, যাতে সার্জেন্টরা ব্যবস্থা নিতে পারে।
তাবলিগ জামাতের সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত নিয়েও আমাদের বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তিনজন মানুষের প্রাণ গেলো। এর দায় কে নেবে? ইসলামে এর কোনো সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না।