আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবউল্লাহ রায়হান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করলে মাওলানা সাদের অনুসারীদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

হাবিবউল্লাহ রায়হান বলেন, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সাদপন্থীদের হামলায় তাদের তিনজন সাথী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে। তিনি যোগ করেন, ইজতেমা ময়দানে আগামি বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই জোবায়েরপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

জোবায়ের পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেছে। সাদপন্থীরা আবারও ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করলে সাধারণ মুসল্লিরা তাদের প্রতিহত করবে।

তাবলিগ জামাতের এই বিভক্তি ইজতেমার সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে মাওলানা সাদ তার মতবাদ থেকে ফিরে এসে ক্ষমা চাইলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও মনে করেন জুবায়েরপন্থীরা।

এদিকে, দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠ পুরোপুরি ফাঁকা দেখা গেছে। ময়দান ছেড়ে গেছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। মাঠটি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জোড় ইজতেমা করতে চেয়েছিলেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দুপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে নিহত হন চারজন এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় হতাহতের দায় একে অপরের ওপর চাপায় উভয়পক্ষ।

এরপর গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক হয়। এতে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাদ অনুসারীরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ইজতেমা ময়দান খালি করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

আগামি ৩১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে মাওলানা সাদের অনুসারীদের।

Exit mobile version