আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া নড়াইলের আরও এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসত্য তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে। ওই নারী ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে এ ধরনের বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে কোনো বিভেদ নেই।

নড়াইলের লোহাগড়ার নলদী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। এখানে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি দীর্ঘদিনের সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে সেদেশে যাওয়া স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য উষা রানী রায়ের একটি বক্তব্য প্রচার হয়। যা নিয়ে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা।

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, মাগুরার দিকে দোকান খুলতে পারতেছেন না। লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

তবে পরিবার জানায়, চিকিৎসার জন্য গত ৭ ডিসেম্বর ভারতে যান উষা রানী। সেখানে তাকে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়।

ভিডিও বার্তায় বিষয়টি তুলে ধরে উষা রানী বলেন, চারিদিক থেকে ঘিরে রেখে সবকিছু বলাইছিল। আমাকে চার ঘণ্টা আটকে রেখেছিল। আমি ভয়ে পড়ে সবকিছু বলছিলাম।

উষা রানী রায়ের স্বামী সুবাস রায় বলেন, এক সাক্ষাৎকারে সম্পূর্ণ ভূল তথ্য দিয়েছে। আমরা খুব সম্মানের সাথে সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বসবাস করি। এ ছাড়াও আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই একসঙ্গে থাকি।

সনাতন ধর্মের এক নারী বলেন, আমরা খুব শান্তিতে আছি। আমরা সুন্দর পরিবেশে পূর্জা অর্চনা করছি।

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি এখানকার ৩০ বছরের চেয়ারম্যান। কারও বাড়ি অত্যাচার হয়েছে বলে এমন কোনো প্রমাণ নেই এবং কোনো প্রমাণও নেই।

লোহাগড়ার নলদী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোরসালিন বলেন, চেয়ারম্যানসহ আমরা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করি যেন আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকে। লোকজনের সঙ্গে কথা বলি যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version