আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পরিবর্তন আনা হচ্ছে টাকার নকশায়। নকশা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে যুক্ত হতে যাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি। আপাতত চার ধরণের নোটে এ পরিবর্তন আনা হবে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আপাতত ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসটে পারে এসব নোট।

জানা গেছে, নতুন নোটে থাকবে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এর পরিবর্তে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি।

নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেশের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন টাকা ছাপানোর বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন নোট বাজারে আনা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বাজারে নতুন নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া, সরকারের পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়ে গেছেন। এতে ব্যাংকে নগদ নোটের সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বাজারে নোটের প্রবাহ বাড়াতে সরকার নতুন নোট ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

বর্তমানে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। এছাড়া, ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপতে। তার আগের অর্থবছরে খরচ ছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সবশেষ নতুন নকশায় ২০০ টাকার নোট চালু হয় ২০২০ সালে।

Exit mobile version