আজ বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনালের (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে আগামী মার্চে তালিকা প্রকাশের পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তালিকায় ১৭ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিইসির সভাকক্ষে বেলা ১১টায় বৈঠকটি শুরু হয়।

১৪তম নির্বাচন কমিশনের প্রথম এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন। এছাড়া সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, জানুয়ারির ২ তারিখে আইন অনুযায়ী প্রতিবছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হয়। এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করার পর কেউ যদি মনে করে সে খসড়া তালিকা মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তখন তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোটার হওয়ার যোগ্য হলে ভোটার হিসাবে গণ্য করা হয়।

এ কাজ শেষ করতে হয় মার্চের দুই তারিখের মধ্যে বা তার আগে। কারণ দুই তারিখে এ সংশোধনী বা আমাদের ডাটাবেজে আগের যে তথ্য থাকে তার আলোকে তারা (যাদের প্রতি বছর ১ জানুয়ারিতে ১৮ বছর পূর্ণ হয়) ওই বছরেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়। এ কাজটা আমাদের সামনে করতে হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য কি কি প্রস্তুতি প্রয়োজন সে প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা কমিশনকে অবহিত করেছি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে ইসি সচিবালয়ের কি প্রস্তুতি আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন যদি আমাদের বলে তাহলে আমাদের সেটা করতে হবে। তবে, আমাদের প্রস্তুতির কথা যদি বলেন তাহলে ঠিক এ মূহূর্তে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না যে প্রস্তুতি আছে কি না। কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবে আমাদের শেষ করতে হবে এবং সে প্রস্তুতি আমাদের গ্রহণ করতে হবে। বাড়িবাড়ি গিয়ে হালনাগাদ করতে হয় তাহলে আমাদের কি করতে হবে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন এ কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে আনুষ্ঠানিক এ সভার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞও শুরু হলো।

Exit mobile version