আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয় পুরো পশ্চিমবঙ্গ। তার রেশ ছড়ায় পুরো ভারতে। পথে নামেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেব্রেটিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে বিজেপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে রীতিমতো কোনঠাসা হয়ে পড়েন তৃণমূল প্রধান।

ধারণা করা হচ্ছিলো, এর প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনেও। কিন্তু শনিবার ঘোষিত ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলে সবগুলোতেই বিপুল জয় পায় ক্ষমতাসীন তৃণমুল কংগ্রেস। কোচবিহার, উত্তর-২৪ পরগণাসহ বিভিন্ন আসনে ৫০ থেকে ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছে মমতা ব্যানার্জির দল। যেখানে, দুই ফ্রন্ট মিলে ৩০ শতাংশ ভোটও পায়নি বিজেপি ও বামরা।

কিন্তু কীভাবে? বিভিন্ন মহলে উঠছে সেই প্রশ্নই। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে মমতার নেয়া বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক অনুদান এখানে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। তাই আর জি কর আন্দোলন গ্রামে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তৃণমূলের এই জয়ের জন্য বিজেপির সাংগঠনিক ও কৌশলগত দুর্বলতাকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।

এদিকে, তৃণমূলের এমন জয়ের পেছনে ‘ভোট কারচুপি’কেও ছোটো করে দেখতে নারাজ অনেকে। বিজেপি’র অভিযোগ-ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় আর প্রশাসনের সহায়তায় কারচুপি তৃণমূলের রাজনীতির বহু পুরোনো অভ্যাস।

Exit mobile version