আজ শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতালে শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ডাক্তারদের কোনো গাফিলতি নেই বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালটির পরিচালক ইফফাত আরা জানিয়েছে, এ ঘটনায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতাল জড়িত নয়।

আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জনসন রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান৷

অভিজিৎ মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রাখা হয়, শিক্ষার্থীদের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন ইফফাত আরা। তিনি বলেন, মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে হাসপাতাল সম্পর্কে অসত্য ও উস্কানিমূলক তথ্য দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পরিচালক।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা, ভাঙচুর চালায় কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এর আগে, রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমআরসিসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভুল চিকিৎসায় অভিজিতের মৃত্যুর অভিযোগ এনে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ভাঙচুর করে। এরপর শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার গত ১৬ নভেম্বর সকালে ন্যাশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় তার।

মৃত্যুর দুই দিন পর ডিএমআরসির শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে এলে কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

Exit mobile version