বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মো. আল-আমিন (৩৬) নামের এক যুবককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে প্রধান করে ৯৫ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ২০০-৩০০ জন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নিজেই।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।
উক্ত মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানপুত্র একেএম অয়ন ওসমান (৩৭), ভাতিজা আজমেরী ওসমান (৪৫), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম (৫৬), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি (৫৫), নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া (৫৫), ৩ নং ওয়ার্ডের শাহজালাল বাদল (৪২)সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মামলার এজাহারে তুলে ধরা হয়েছে, গেল ৩রা আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডস্থ মিতালী মার্কেটের সামনে ছাত্র- জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভুক্তভোগীসহ জুলুম বিরোধীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এই মামলার আসামিরা। ওইসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার একপর্যায়ে আল-আমিনের ডান হাতে লোহার রডের আঘাত লেগে হাড় ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে যান। পরবর্তীতে আহতাবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান।