বন্দর থানার কলাগাছিয়া এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার থেকে লুট হওয়া প্রায় ৫০ হাজার লিটার ফার্নেস তেল উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উদ্ধারকৃত তেলের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ফার্নেস তেল উদ্ধার করা হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) তরিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৪ লাখ লিটার তেল বহনকারী একটি বড় তেলের ট্যাংকার সিদ্ধিরগঞ্জ পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে গাজীপুরের আরপিসিএল পাওয়ারর প্লান্টে যাচ্ছিল। এই সময় দুর্বৃত্তরা দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ট্যাংকারটি থামায় এবং প্রায় ৫০ হাজার লিটার তেল লুট করে নিয়ে যায়। তারা তেল লুটের পর ট্যাংকারের চারজন ক্রুকে অপহরণ করে। পরে তাদেরকে নিরাপদে ছেড়ে দেয়। লুট হওয়া তেল কলাগাছিয়া এলাকার একটি চরে অভিযুক্ত ডালিম এবং শিপনের তত্ত্বাবধানে নিয়ে যাওয়া হয়। চুরি হওয়া তেলের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনার এ তেল চুরি ও অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আল-আমিন বন্দরের পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ক্যাম্প থেকে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্যের একটি দল নিয়ে অভিযানে যান। সেখানে কোনো সংঘর্ষ না হলেও, স্থানীয় কিছু লোক পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন চিহ্নিত অপরাধীও এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানায় পুলিশ।
অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। অভিযানে প্রথমে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলির নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়। যেখানে লুট হওয়া তেল লোড করা হচ্ছিল। জানা যায় দুর্বৃত্তরা ছোট ছোট গ্যালনে তেল বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। যৌথবাহিনীন অভিযুক্ত ডালিম এবং শিপনের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে খালি গ্যালন, দা, ছুরি, পাসপোর্ট ইত্যাদি উদ্ধার করে।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) তরিকুল ইসলাম বলেন, র্যাব-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে লুট হওয়া সকল ফার্নেস তেল উদ্ধার ও দুটি ট্রলার আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।