নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আটির ভূমিপল্লী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত মো. হৃদয়ের (২৭) লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেনের উপস্থিতিতে তিনমাস পর সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মিজমিজি পাইনাদী করবস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রবিবার বিকেলে লাশ উত্তোলনের বিষয় নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কর্তব্য কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আটির ভুমিপল্লীর সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তদের গুলিতে হৃদয় মারা যায়। পরে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তেই সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ মিজমিজি পাইনাদী করবস্থান দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হৃদয়ের মা মোসা. রিতা বাদী হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর গত ২১ আগষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর উদ্দিন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদলসহ সহ ১০ জনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাববর হোসেন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ১২(৮)২৪ এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ মিজমিজি পাইনাদী কবরস্থান থেকে হৃদয়ের লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হৃদয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।