আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘জুলাই ৩৬’ (১ জুলাই থেকে টানা ৩৬ দিন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত) নিহতদের স্মরণে আটটি স্থানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, উত্তরা, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ইসিবি চত্বর, বাড্ডা-রামপুরা, চানখারপুল, মোহাম্মদপুর এবং রংপুরে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার স্থানে এসব স্মৃতি স্তম্ভসহ লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের তালিকা প্রস্তুত করতে এবং আহতদের প্রয়োজন অনুযায়ী দেশে-বিদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতি চার মাস অন্তর এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের দায়ের করা এক রিট পিটিশনের উপর শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। জনস্বার্থে ‘জুলাই ৩৬’ অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তালিকা, চিকিৎসা ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য রিটটি করেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।

রিট রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে- স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-১, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ জন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শহীদদের তালিকা প্রস্তুত করতে এবং আহতদের প্রয়োজন অনুযায়ী দেশে-বিদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতেও রুলসহ নির্দেশ দিয়েছেন। আর বিষয়টি ‘কন্টিনিউয়াস ম্যান্ডামাস’ হিসেবে রেখে প্রতি চার মাস পর পর এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করতে বলেছেন আদালত।

ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন। একই সঙ্গে জুলাই-৩৬ ও শহীদদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ জারি করেন এবং আহতদের দেশে এবং বিদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Exit mobile version