স্পোর্টস ডেস্ক
দেশের বাইরে দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের। রাওয়ালপিন্ডিতে ২ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো পাকিস্তান। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো শান মাসুদের দল।
করাচির বদলে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের রেকর্ড জুটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান।
পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে ওপেনার জাকিরের ব্যাট থেকে।
গতকালই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল বৃষ্টি। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন তেমন কিছুই হতে দেখা গেলো না। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় টেস্ট ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানকে দুই টেস্টের সিরিজে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ (২-০) করার কীর্তি গড়েছে।
প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া টেস্টে প্রায় পুরোটা সময় চালকের আসনেই ছিল বাংলাদেশ। ১৮৫ রানের লক্ষ্যে গতকাল ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান তুলে কাজটা এগিয়ে রেখেছিলেন দুই ওপেনার। পঞ্চম দিনের শুরুতে জাকির, সাদমান ফিরলেও জয়ের পথে সেটা বাধা হয়নি। শান্ত-মুমিনুলের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি জয়টাকে নিয়ে আসে দৃষ্টি সীমায়। বিরতির পর কাছাকাছি সময় শান্ত, মুমিনুল আউট হলে গতিটা যায় শুধু কমে। তখন শুধু জয়ের জন্য মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে ধীরে ধীরে এগিয়েছে সফরকারী দল। তাদের ব্যাটে ভর করেই ৫৬তম ওভারে নিশ্চিত হয়েছে অসাধারণ এক টেস্ট জয়।
দেশের বাইরে এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জয়ের নজির আছে একটিই। ২০০৯ সালে সেটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে চুক্তি নিয়ে ঝামেলায় ক্যারিবিয়ানদের দলটির ছিল দ্বিতীয় সারির। তাই এবারই প্রথম পূর্ণশক্তির দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১০ উইকেটে প্রথম টেস্ট জিতে তারা ইতিহাস গড়েছিল। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলো ইতিহাস গড়া প্রথম টেস্ট সিরিজ।
এই টেস্টেই স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে বেধে দিয়ে নিজেরাই পড়ে গিয়েছিল ফলোঅনের শঙ্কায়। ২৬ রানে পতন হয় ৬ উইকেটের। তার পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের বিশ্ব রেকর্ড জুটি দলকে খাদ থেকে টেনে তুলে। লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রান পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশের স্কোর।
পাকিস্তান ১২ রানের লিড পেলেও সেটা কোনও কাজেই আসেনি। যার পেছনে বড় অবদান পেসারদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ দিন জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন দুই পেসার নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। তাতে এবারই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন পেসাররা। আর পাকিস্তানে বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন হাসান মাহমুদ।