নিজস্ব প্রতিবেদক
দখলবাজ ও চাঁদাবাজদের দুষ্কৃতকারী অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় দুদু বলেন, দেশটা আমাদের। আশপাশে কিছু মুখোশধারী বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে, চাঁদাবাজীর চেষ্টা করছে। বিএনপি স্পষ্টভাবে বলেছে, তারা দুষ্কৃতকারী। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাদের ঠেকাতে হবে। এই জায়গায় কোনো আপস করা যাবে না।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
দুদু বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের প্রতীক। এই ভিন্নতা যারা মাথায় না নিতে পারবে তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি হচ্ছে কি হবে-এটা ব্যাখ্যা করে সামনে এগুতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে সরকার, আমরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলা, তারেক রহমানের মামলা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামলা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের আড়াই লাখ মামলার অধীনে ৬০ লাখ আসামি আছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। অনেকে জেলে আছে, যাবজ্জীবন, ফাঁসির অর্ডার নিয়ে জেলে আছে তারা এখনো মুক্তি পায়নি।
তিনি বলেন, তাদের মামলা যতক্ষণ প্রত্যাহার না হবে, তাদের মুক্তি যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ ধরেই নিতে হয় এই সরকারের বড় দাগের কোনো কাজ এখনো তারা সম্পন্ন করতে পারেনি। এই সরকার আমাদের সরকার, গণতন্ত্রের সরকার, আন্দোলনের সরকার, ছাত্র-জনতার সরকার। তাহলে গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কাজ করছে তারা যদি বিপদে থাকে, তারা যদি কষ্টে থাকে, তারা যদি এখনো নির্যাতনের মুখোমুখি হয় তাহলে এটা এই সরকারের জন্য খুব ভালো সংবাদ বয়ে আনে না। কারণ এই সরকারকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য অধিষ্ঠিত করেছি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কেউ কেউ বলছেন বন্যায় ভাসছি, আবার এখন নির্বাচনের দরকার কি? যারা যেমনে তারা তেমনই কথা বলতে বলে এটা আমার ধারণা। কিছু মানুষ আছে, কিছু দল আছে আমাদের সঙ্গে থাকলেও ১৯টা আসন পায়, আমাদের বেরিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে তারা তিনটা আসন পায়। তারা ভোটতো ভয় পাবে, এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেনে হৃদয়ের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।