আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জনদর্পণ প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনে বসেন মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বা এডিস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্পের কর্মকর্তারা। কিন্তু এখানেই এডিসের অভয়ারণ্য। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার!
ভবনের কার্নিশ থেকে শুরু করে বেইজমেন্টে পার্কিং এর জায়গা- সবখানে জমা পানিতে জন্ম নিয়েছে লার্ভা। বেইজমেন্টের যে চৌবাচ্চায় পানি জমা আছে সেখানে মশার অভয়ারণ্য। ভালো করে তাকালেই দেখা মিলবে কিলবিল করছে লার্ভা। এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, অধিদফতর যে জরিপ করেছে সেখানে কী অন্তর্ভুক্ত ছিল এই ভবন?বেইজমেন্টের যে চৌবাচ্চায় জমা পানিতে কিলবিল করছে লার্ভা। একই অবস্থা অধিদফতরের পুরাতন ভবনেরও। পুরো পরিবেশ যেনো উষ্কে দিচ্ছে এডিসের বংশ বিস্তারে।যদিও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এডিস বাহক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রকল্পের পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা সচেতন না, তা বলা যাবে না। সবসময় পরিষ্কার করা হয়। আর যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে পানি জমে থাকার তা সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ফলে জমেছে।
এদিকে গত এপ্রিলে ডেঙ্গু বাহক এডিস নিয়ন্ত্রণে প্রাক বর্ষা জরিপ করে অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি)। এর আগে গণমাধ্যমে জানিয়ে করলেও এবারের জরিপ অনেকটা নিভৃতেই সারে তারা। গত মঙ্গলবার সেই জরিপের ফলাফলে দুই সিটি ১৮টি ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। জরিপ মেনে দুই সিটি কাজ শুরু করলেও এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন ভবনের কার্নিশে জমে থাকা ময়লা। ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামছুল কবির বলেন, ওনারা যে পরিমাণ লার্ভার ঘনত্ব দেখিয়েছেন ওয়ার্ডগুলোতে, তাতে কিন্তু দক্ষিণ সিটি পুরো ডেঙ্গু রোগীতে সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তেমনটি না। ওই সার্ভে এমন একজন ব্যক্তিকে সংযুক্ত করা হয়েছিল যিনি এই প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারেন বলেও আমরা মনে করছি। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮১০ জান আর মৃতের সংখ্যা ৩৫।

Exit mobile version