আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দীর্ঘ দুই মাস পর আজ থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় আবার মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। পদ্মা-মেঘনাসহ পাঁচটি অভয়াশ্রমে গত দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এ নিষেধাজ্ঞা গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে।

গত দুই মাস জাটকা সংরক্ষণে নদীতে তত্পর ছিল নৌ পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সচেতন জেলেরা এ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর এখন আবার নদীতে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা। নদীতীরে জাল বুনে আর নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। জেলেদের প্রত্যাশা, জাটকা সংরক্ষণের কারণে এবার অনেক বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।

চাঁদপুর জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে দক্ষিণে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদীতে সরকারি তালিকা অনুযায়ী জেলের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। গত দুই মাসে শুধু চাঁদপুরের নদী এলাকায় ১৩০টি অভিযানে ১৫০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এতে সাড়ে ১১ হাজার কেজি জাটকা ও সাড়ে ২৬ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার দায়ে দুই শতাধিক জেলেকে অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

বেকার জেলেদের মার্চ-এপ্রিলসহ আরো দুই মাস খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা জানালেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা। প্রতি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা জানান তিনি।

চাঁদপুর বিভাগের নৌ পুলিশ সুপার সুব্রত হালদার জানান, জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিলসহ বছরজুড়ে নৌ পুলিশ তৎপর থাকবে।

ইলিশ গবেষক ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদীকেন্দ্র, চাঁদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান জানান, জাটকা সংরক্ষণের ফলে এ বছর ইলিশের উৎপাদন পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছর উৎপাদনের এ হার ছিল চার লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন।

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন এবং জাটকা সংরক্ষণে আরো মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রমগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রেখেছিল সরকার।

Exit mobile version