আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের আগে হেরে যায়। বিএনপি কি জনমত দেখে আঁচ করতে পারছে যে, নির্বাচনে ভরাডুবি অনিবার্য? এ কারণে আগেভাগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনার ক্ষেত্র তৈরি করছে।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের মৌচাকে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যদি বৈঠক করেন, তাতে অন্যায় কী? এটা সিটি করপোরেশন এলাকা নয়। এ জন্য বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভুয়া অভিযোগ করছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর সিটি করপোরেশনের মতো গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচন হবে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে, সেটি দেখাক। বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘনের সেই প্রমাণ অভিযোগ আকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে পারে। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ করার কারণ কী? গাজীপুর ও খুলনার কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতা চালাতে পারে—এমন অভিযোগে যদি কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে, তাহলে সেটি কী ভীতি প্রদর্শনের মধ্যে পড়ে?

আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের পাঠানো চিরকুটের জবাবে ওবায়দুল কাদের বিএনপি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় বলতে গিয়ে বিএনপির সাত দফা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে আসেন। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিজ পদে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই দলকে মানুষ কেন নির্বাচিত করবে? এরা ক্ষমতায় এলে আবার দুর্নীতি করবে। হাওয়া ভবন খুলবে। সন্ত্রাস করবে।

কৃষক লীগের আলোচনা সভায় বিভিন্ন জায়গায় অহেতুক কমিটি দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা কতজন কৃষক? এ সময় মিলনায়তনে থাকা অতিথিদের বেশির ভাগই হাত তুলে নিজেদের কৃষক দাবি করেন। তখন তিনি মাথা নেড়ে না-সূচক সাড়া দিয়ে বলেন, ঢাকায় বসে কৃষক! কৃষক লীগের ধানমন্ডি, গুলশান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, নিউ ইয়র্ক শাখার কী দরকার? যেসব জায়গায় ফোকাস দেওয়া দরকার, সেসব জায়গায় ফোকাস দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, তারেক রহমানের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব থাকল কি না, তা নিয়ে দেশের জনগণের মাথাব্যথা নেই। বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তারেক রহমানকে তাঁর পাপের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি মাকসুদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার শামসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম খান।

Exit mobile version