আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আরাম, নিজের পছন্দ, অন্যকে অনুসরণ না করা। পোশাক বাছাইয়ের সময় এই তিনটি বিষয় মাথায় রাখলেই এ বছর গরমের ফ্যাশনের জন্য আপনি প্রস্তুত। ফ্রক, ম্যাক্সি ড্রেস, পালাজ্জো, স্কার্ট, লম্বা কাটের কামিজ, ক্রপ টপ, জ্যাকেট—সবই থাকবে ২০১৮-এর গরমে। চাইলে একটির সঙ্গে আরেকটি মিলিয়ে তৈরি করতে পারেন নিজের স্টাইল। তবে এমনটি না চাইলেও ক্ষতি নেই। গরম যেহেতু, তাই পাতলা কাপড় আর হালকা রঙের দিকেই থাকুন। স্মার্ট, ক্যাজুয়াল, জমকালো পাঁচটি ধরন তুলে ধরা হয়েছে নকশার আজকের আয়োজনে।

গরমে ক্যাজুয়াল

ইজিপশিয়ান লিনেন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্নিগ্ধ ল্যাভেন্ডার রঙের পোশাকটি। ক্যাজুয়াল ঘোরাফেরার জন্য আদর্শ। টপটা তিন দিকে লম্বা, সামনের কিছুটা অংশে কোমরের কাছে এসেই শেষ হয়ে গেছে। হাতার মধ্যেও আধুনিক কাট। ফ্লেয়ার কাটে এক দিকে লম্বা হাতা। আরেক দিকে হাতকাটা। সঙ্গে সাদাকালো ডোরাকাটা বেল্ট। দেখে যতটা স্নিগ্ধ লাগছে, পরেও ততটা আরাম পেয়েছেন—জানালেন কলকাতার মডেল ও অভিনেত্রী রোজা পারমিতা দে। পালাজ্জোটাও একই রং ও কাপড় দিয়ে তৈরি। হাতে রুপার মোটা ব্রেসলেট, পায়ে কালো ফুলেল নকশার জুতায় সাজ সম্পূর্ণ। রোজা নিজেও জুতার সঙ্গে মিলিয়ে বেল্ট বা ব্যাগ নিতে পছন্দ করেন। ফুলেল প্রিন্টের নকশা অনেক সময়ই ফাংকি একটা চরিত্রও যেন তৈরি করে ফেলে বলে মনে করেন। পালাজ্জোর ঘের এ বছরও বেশি থাকবে। তবে অফিসে সোজা কাটের পালাজ্জো বা প্যান্ট চলবে বলে জানান ডিজাইনার হুমায়রা খান। সালোয়ার ও চুড়িদার এ বছর ফ্যাশনে বেশ জোরালোভাবেই ফেরত আসবে।

হালকা শাড়িতে জমকালো

স্ট্রাইপ এখন বেশ জনপ্রিয়। এই গরমেও চলবে। হল্টারনেক ব্লাউজটি সেই নকশারই একঝলক। সুতির শাড়িতে ব্লকের নকশা সাজানো হয়েছে আধুনিক আর ঐতিহ্যের ছোঁয়ায়। শুধু হলুদের অনুষ্ঠানেই যে উল্টো আঁচল দিয়ে শাড়ি পরা মানায়, তা নয়। যেকোনো দাওয়াতে আপনিও এই স্টাইলে শাড়ি পরতে পারেন।

ফুলেল মসলিনে

বিভিন্ন রঙের সুতা ও ছাপা নকশায় সাজানো হয়েছে সাদা মসলিনের কামিজটিকে। ডাবল লেয়ার দেওয়া ইয়কটি নজর কাড়ে। পেছনে ফিতা দিয়ে ফ্রকের স্টাইলে বাঁধা। জমকালো এই পোশাকটির সঙ্গে পালাজ্জোও আছে। পায়ে গোলাপি রঙের জুতা। ফিউশনধর্মী এই লুকে আরও ভিন্নতা এনেছে চুলে আটকানো ফুল নকশার কাঁটাগুলো। পোশাকের সঙ্গে জুতা পরা নিয়ে রোজা বলেন, ‘আমার অক্সফোর্ড শু খুব পছন্দ। আনুষ্ঠানিক, জিনস, ড্রেস স্টাইলের পোশাকের সঙ্গে আমি কনভার্স, কেডস বা শু পরে ফেলি।’

Exit mobile version