আজ সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা শিল্পসমৃদ্ধ-কৃষি নির্ভর উপজেলা। উপজেলার মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৭% মানুষ কৃষি নির্ভর ও গ্রামে বাস করে। শিল্পায়নের ছোঁয়া লাগলেও সে পরিমান সুবিধা পায়নি ভালুকার জনগন। তবে কিছু-কিছু সড়কের ইটের সলিং হলেও তা তুলনায় খুবই কম।
সরেজমিনে দেখা যায়-উপজেলার সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়কের বাটাজোর বাজারের গুরুত্বর্র্পুণ অংশে বিশাল গর্ত থেকে এখন ডোবায় পরিনত হয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই পরিনত হয় অথৈ জলাধার। বাজারের ভেতরেও রয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। জনবহুল সিডষ্টোর বাজারের শহীদ সমশের সড়কের জলিল মেম্বার বাড়ীর সামনে, মধু মার্কেটের সামনে ও চাউলের মিলের পার্শ্বে বিশাল গর্তগুলো সময়ের সাথে ডোবায় পরিনত হচ্ছে ।
এই সড়কে বাস, অটো রিক্সা, মালবাহী ট্রাক, লরি, পিকাপ ভ্যানসহ প্রতিদিন মিল শ্রমিকবাহী শতশত যানবাহন সখীপুর ও বাটাজোর বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে। চলতি এইচ এস সি পরীক্ষার্থীবাহী যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে,যার কারনে সময় মত তার পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারছে না বলে জানিয়েছে একাধীক অভিভাবক। বাটাজোড় কেন্দ্রের পরীক্ষাথীরা জানায়, রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হওয়ায় তার ২দিন পরীক্ষা কেন্দ্র পৌছঁতে দেরী হয়েছে।
সড়কে অসংখ্য বিশাল আকারের খানা-খন্দের কারনে সৃষ্টি হয় যানজট ও বিঘœ ঘটে গাড়ী চলাচলের। এই রোডের অটো চালক মো: দেলোয়ার জানান- প্রায়ই রাস্তা নষ্ট থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে।এ ছাড়াও বাটাজোর ,কচিনা বাজার রাস্তাাটির মাঝে-মধ্যে কার্পেটিং উঠে গেছে এবং বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।যার দরুন প্রতিদিনই গাড়ী বিকল হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বাটাজোর-সখীপুর সড়কের বিশাল গর্তে একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাধারের সৃষ্টি হয়। হবিরবাড়ী-কাচিনা ইউনিয়নের, জামিরদিয়া আইডিয়াল মোড়, জামিরদিয়া রোডে রাশিদ মেম্বারবাড়ীর সামনে একটু বৃষ্টিতেই বিশাল জলাধার যেনো কোন নদী বা খাল!
সিডস্টোর-গাংগাটিয়া-তালাব, পাড়াগাঁও-চাটানপাড়া-গৌরিপুর এলাকা আধা পাঁকা ও কাঁচা রাস্তাগুলো একটু বৃষ্টিতেই চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। মাস্টারবাড়ী-কাঁশর রোডে বিশাল গর্ত যেনো মরন ফাঁদ ! খুব বেশী কাঁদা হওয়ায় এ রাস্তাগুলো বিড়ম্ভনায় ফেলে দেয়-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কারখানার শ্রমিক, তরিতরকারী বাহী যান ও সর্ব সাধারণের চলাচলে।
নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি ময়মনসিংহ ,সেলিম সরকার জানান, সিডস্টোর-সখীপুর সড়কটির টেন্ডার হয়েছে, ঠিকাদার পাচ্ছিনা। জুলাই মাস থেকে কাজ শুরু হবে। আর সি আই পি-২ প্রজেক্ট এর অর্থায়নে কাজটি হবে। সাময়িকভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য শীঘ্রই কাজ করা হবে।
ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলীর সরকারি মোবাইল নাম্বারটিতে বারবার কল করে তা বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অবহেলিত এ রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার ও পাকাকরনের দাবী দ্বীর্ঘ দিনের। বর্ষা মৌসুমে উপজেলার কাঁচা ও আধা-পাকা রাস্তাগুলো অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিড়ম্ভনার শিকার হয় হাজারো সাধারণ মানুষ। উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তার সিডস্টোর-সখিপুর সড়কটির বেহাল দশা। এলাকাবাসীর দাবী যেনো- রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত ও পাঁকাকরন করা হয়।

Exit mobile version